দখিনের খবর ডেস্ক।। বরিশাল নগরীর সিএন্ড বি ১ নং পুল সংলগ্ন ‘ লীনা কুঞ্জে ‘ ডা. এইচ,এম, সাইফুল ইসলামের গড়ে তোলা মান সর্বস্ব একটি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘ নিরুপন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘। ডা. সাইফুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি’র অধ্যক্ষ।
নাম সর্বস্ব এই হসপিটালের নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন। অবৈধভাবে পরিচালনা করা হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে রয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর সব অভিযোগ। এর মধ্যে , মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান দিয়ে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট তৈরি, টেস্ট না করেই রির্পোট দেওয়া, পরীক্ষাগারে দূষিত রক্ত রাখা, লাইসেন্স না থাকা, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, সহকারী দিয়ে চিকিৎসা ও অপারেশন, চিকিৎসার আগেই টেষ্ট করে টাকা আত্মসাৎ, দালাল নির্ভর রোগী সংগ্রহ সহ নানা অনিয়ম ও অভিযোগ অন্যতম।
সম্প্রতি দু-তিনজন সাংবাদিকরা এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে সরাসরি ফেইসবুক লাইভে সরেজমিনে যান হসপিটালটিতে। সরেজমিনে গিয়ে ফেইসবুক লাইভ ভিডিওতে প্রচার করা হয় ব্যাপক অনিয়ম। ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি মডেল থানার কর্তব্যরত পুলিশ আল আমিন নামে একজন পুলিশ অফিসার গেলেও নেয়া হয়নি দালালদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা।
এদিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে নিরুমন হসপিটালের দালাল নির্ভর সেবার নামে প্রতারণা ও সহকারী দিয়ে চিকিৎসার আগেই টেষ্ট করে পয়সা হালালের বিষয়টি সরাসরি প্রচার করলেও , রহস্যজনকভাবে ম্যানেজ হয়ে ভিডিও মুছে দেয় লাইভ প্রচার করা ওই সাংবাদিকরা। যদিও তাতে খুব সুফল পাননি ডা.সাইফুল ইসলাম। ভিডিওটি ডিলেটের আগেই প্রতারিত রোগীর স্বজনরা ভাইরাল করে এটি ছড়িয়ে দেয়।
অভিযোগ সমন্ধে ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন ‘ আমি অনুপস্থিত ছিলাম। তখন একজন রোগী র বিষয় অনিয়ম হয়েছিল। আমি পরে সমাধান করেছি। আপনাদের চায়ের দাওয়াত রইল, সুযোগ করে এসে চা খাবেন প্লিজ। ‘
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.বাসুদেব কুমার দাস জানান ‘ বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এমনিতেই আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আর সেখানে এত অনিয়ম কোনদিনই সহ্য করা হবেনা। আমি ব্যবস্থা নিব। ‘
Leave a Reply